চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ মোট ৭ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে ভাঙচুর করে ৭টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার মধ্যরাতে উপজেলার উপজেলার দুই ইউনিয়ন কুমারী ও ডাউকিতে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত থাকায় সেলিম ও হিরণ নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, “পথসভা শেষ করে আমার নির্বাচনী অফিসে আসার পর নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানের কর্মীরা হঠাৎ আমার অফিসে ভাঙচুর চালায়। তারা আমাদের কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
এদিকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টু বলেন, “আমার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেনি। তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে করেছে।”
অপর ঘটনায় ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, “পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাঙচুর করেছে নৌকা প্রতীকের তরিকুল ইসলামের কর্মীরা।”
অভিযোগ অস্বীকার করে তরিকুল ইসলাম বলেন, “যে অসিফটা ভেঙে ফেলা হয়েছে সেটা বিএনপি-জামাতের অফিস। তাই হয়তো ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে গেছে।”
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, দুটি ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের দুজনকে আটক করেছে।